পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ রোববার বাহুবল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত ও পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম আজ দুপুরে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র এসআই জিয়াউর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং বাহুবল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহমানকে বরখাস্তসহ তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশুকে অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শিশু হত্যার ঘটনায় বাহুবল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। জেলা পুলিশ প্রশাসন বাহুবল থানা পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি ছিল কি না তা তদন্তে কমিটি গঠন করে।
ওই কমিটি আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ সময় কমিটির অন্য দুই সদস্য হবিগঞ্জ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কাজী কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বাহুবল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহমান ও চার নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমানের গাফিলতি পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এসআই জিয়াউরকে সাময়িক বরখাস্ত ও পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে এসআই জিয়াউর রহমানকে বরখাস্ত করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র। পাশাপাশি বাহুবল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহমানকে বহিষ্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন তিনি।