প্রিগোজিনের মৃত্যু নিশ্চিত করল তদন্ত কর্মকর্তারা
গত ২৩ আগস্ট রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমের খুজেনকিনো গ্রামের কাছেই একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজটিতে থাকা ১০ জনই নিহত হন। দুর্ঘটনার শিকার ওই উড়োজাহাজটির যাত্রীর তালিকায় রুশ ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিল বলে দাবি করা হয়। এমনকি, দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুর কথাও জানানো হয়। তবে, বিষয়টি নিয়ে চলে অনেক জল্পনা-কল্পনা। কারণ, প্রিগোজিনের মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষে, ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
আজ রোববার (২৭ আগস্ট) মস্কো থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রাশিয়ার তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আজ বলা হয়, জেনেটিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রিগোজিনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।
তদন্ত কমিটির মুখপাত্র স্ভেতলানা পেট্রেনকো বলেন, ‘তেভের অঞ্চলে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে মলিকিউর-জেনেটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, উড়োজাহাজটিতে থাকা নিহত ১০ জনকেই শনাক্ত করা গেছে।’
এএফপি জানিয়েছে, প্রিগোজিন বাদে ওই প্রাইভেট জেটটিতে ছিলেন দিমিত্রি উটকিন। রাশিয়ান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করা এই ব্যক্তি ওয়াগনার গ্রুপের অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
মস্কোর শীর্ষস্থানীয়দের বিরুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের ঠিক দুমাস পর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওয়াগনারের বিদ্রোহকে পুতিনের দীর্ঘ শাসনামলে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। গত জুনে বিদ্রোহ করা প্রিগোজিনকে মস্কোর মদদেই হত্যা করা হয়েছে বলে অনেকে দাবি করছেন। এ ঘটনার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিতও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, প্রিগোজিনকে হত্যার পেছনে মস্কোর কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।