তাল গাছ উপড়ে ফেলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ
সড়ক নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে ৩০টি তাল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. সোবাহান হাওলাদারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশপাশি ওই দুই অভিযুক্তকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। অন্যদিকে, ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. সোহেল। আর দৈনিক প্রথম আলোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি বলেন, ‘তালগাছ নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে এক মাসের মধ্যে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিতে বলেছেন আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরিমানার টাকা দিয়ে সেখানে তালগাছ লাগাতে এবং তা সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও জানান অভিযুক্তদের এই আইনজীবী।
সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে তালগাছ উপড়ে ফেলায় প্রথম আলো পত্রিকায় সম্পাদকীয় পাতায় একটি লেখা প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে গত ৭ মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য হাজির হন। আর ইউএনও প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর রুল শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
গত ৬ মে সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে।