ধেয়ে আসছে টাইফুন সাওলা, হংকংয়ে বিমান চলাচল ও স্কুল বন্ধ
চীনের দক্ষিণ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন সাওলা। এর জেরে হংকংয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি শেয়ার বাজার ও স্কুলের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, চীনের অর্থনৈতিক হাব হংকংয়ের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ৪০ মিনিটে (গ্রিনিচ মান সময় বৃহস্পতিবার ১৮:৪০) টি৮ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা।
হংকংয়ের পর্যবেক্ষণাগার থকে বলা হয়, ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে সুপার টাইফুন সাওলা স্থানীয় সময় আজ রাত ৮টার দিকে হংকংয়ে আঘাত হানবে। দ্রুতই আবহাওয়া অবনতি ঘটবে। উপকূলের নিচু এলাকাগুলোতে মারাত্মক বন্যার সম্ভাবনার ঝুঁকি রয়েছে। জনসাধারণকে উপকূল থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে, চীনের মূল ভূখণ্ডে সাওলার জন্য সর্বোচ্চ টাইফুন সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আজ বলেছে, বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে হুইলাই থেকে হংকং উপকূলে আঘাত হানবে সুপার টাইফুনটি। গুয়াংডং প্রদেশে ঝড়ের জরুরি স্তর এক নম্বর সতর্কতা ঘোষণা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র রেড অ্যালার্ট সতর্কতা জারি করেছে। দেশটির চার স্তরের সতর্কতার মধ্যে রেড অ্যালার্ট সবচেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতিতেই জারি করা হয়। টাইফুনের জেরে পশ্চিমাঞ্চলীয় ফুজিয়ামা প্রদেশের এক লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, সাওলার পূর্ব সতর্কতা হিসেবে চীনের বেশ কয়েকটি শহরের স্কুলে শিক্ষাবর্ষ শুরুতে দেরি হচ্ছে। গুয়াংজুতে বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ট্রেনযাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, সরাসরি হংকংয়ে আঘাত হানা বিরল ঘটনা। তবে, পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সন্ধ্যা নাগাদ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সংকেত জারি করার প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করবেন তারা। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা দেওয়া ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স বলছে, গ্রিনিচ মান সময় শুক্রবার ৬টা থেকে শনিবার ২টা পর্যন্ত হংকংয়ের সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে তারা। এইচকে এক্সপ্রেস এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধুমাত্র শুক্রবার তারা ৭০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের পরিবহণ মন্ত্রণালয় ঝড়ের কবলে পড়তে পারে এমন এলাকায় ১৬টি উদ্ধারকারী জাহাজ এবং নয়টি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।