স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে বাবা-মাকে নিয়ে ফিরলেন প্রবাসী ছেলে
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল–ছেলে হেলিকপ্টারে করে ফিরবে ঘরে। বর্ণিল এলাকাজুড়ে থাকবে মানুষের ভিড়। ছেলের অর্জনে গর্বিত হবেন তারা, আইকনে পরিণত হবেন সন্তান। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন ছেলে, উড়ে এলেন নিজ গ্রামে। তবে, তিনি নিজে নন, রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়েই গ্রামে ফিরলেন তিনি।
ঘটনাটি আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলের। হঠাৎ হেলিকপ্টারের পাখার বাতাসে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের মমিনপুর মুকমদশার ফসলি মাঠ দুলে ওঠে। হইচই পড়ে যায় পুরো এলাকায়। সবুজে ঘেরা ফসলি মাঠে থামে হেলিকপ্টার। সেখান থেকে নেমে আসেন প্রবাসী মো. আলম আনসারী, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউল, মা তফুরা বেগম, মেয়ে মাহিরা বিনতে আলম এবং ছোট ছেলে মো. মিরাজ। গর্বে বুক ভরে ওঠে দল বেঁধে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীর।
স্থানীয়রা জানায়, আলম আনসারী সব সময় বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করেন। তিনি এলাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। অসহায় মানুষদেরও সহায়তা করেন। আজ বাবা-মায়ের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ করলেন। গ্রামের অন্যান্যদের কাছে বিষয়টি একটি আইকন হয়ে রইল।
আলম আনসারীর বাবা রহিম বকাউল ও মা তফুরা বেগম জানান, তাদের খুব ইচ্ছে ছিল ছেলে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসবে। আজ তাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
রহিম বকাউল ও তফুরা বেগম তাদের ছেলে আলমের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আমাদের ছেলে যেন মানুষের সেবায় সব সময় নিয়োজিত থাকতে পারে, সেই দোয়া করবেন।’
প্রবাসী মো. আলম আনসারী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন প্রবাসী। আমার বাবা এবং মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে এভাবে বাড়ি ফিরেছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সাধ্যমতো এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকার চেষ্টা করব।’