বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে ৮ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। এই গ্যাস প্রায় ১১ বছর সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে সরকারি দলের সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘দেশে এ যাবৎ আবিস্কৃত ২৯টি গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক মোট মজুত ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৭৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২০. দশমিক ৩৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ফলে মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে ৮ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।’

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশীয় উৎস হতে গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উক্ত পদক্ষেপের আওতায় বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নতুন কোনো গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত না হলে এবং বর্তমান হারে গ্যাস সরবরাহ করা হলে অবশিষ্ট মজুদ ৮ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আগামী প্রায় ১১ বছর সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদা পূরণকল্পে সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি (অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার) কূপ খননের মাধ্যমে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে সাতটি কূপ খনন কার্য সমাপ্ত হয়েছে এবং সম্প্রতি তিনটি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে (টবগি-১, ভোলা নর্থ-২ ও ইলিশা-১)। দুটি কুপ (বিয়ানীবাজার-১ এবং তিতাস-২৪) ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের সমুদ্র এলাকায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের লক্ষ্যে টু-ডি মাল্টি ক্লায়েন্ট সাইসমিক জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া গত ৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ অফসোর মডেল পিএসসি ২০২৩’ অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অফশোর এলাকায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য নতুন বিডিং রাউন্ড আহ্বানের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’