পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙার চেষ্টায় বাংলাদেশ
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে চরম হতাশা করেছে বাংলাদেশ। গড়তে পারেনি শক্ত পুঁজি। গুঁটিয়ে গেছে মাত্র ১৯৩ রানে। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংটাও হয়েছে নড়বড়ে। রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছিল না বাংলাদেশ। অবশেষে দশম ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিলেন শরিফুল ইসলাম।
দশম ওভারের প্রথম বলে ফখর জামানকে এলবির ফাঁদে ফেলেছেন শরিফুল। ৩১ বলে ২০ রান করে ফিরেছেন ফখর। ৩৫ রানে ভেঙেছে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি।
ম্যাচে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে বোল্ড করেন তিনি। তাসকিনের নিচু হওয়া বলে ফ্লাইট মিস করেন বাবর। ২২ বলে ১৭ রান করেন তিনি। ৭৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাকে নিয়ে ধীরেসুস্থে এগিয়ে চলেন ইমাম। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম অর্ধশতক। ইমাম-রিজওয়ানের ৮৫ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। ৩২.৫ ওভারে দলীয় ১৫৯ রানে মিরাজের বলে বোল্ড হন ইমাম। আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৮৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংস।
১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে সাবধানী শুরু করে পাকিস্তান। বাংলাদেশি বোলাররা সেই অর্থে পরীক্ষায় ফেলতে পারছে না স্বাগতিকদের।
এর আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ৩৮.৪ ওভার টিকতে পেরেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে সাকিব ও মুশফিকের হাফসেঞ্চুরিতে কোনোমতে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু, অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মাঠে ফলাতে পারেননি দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখ। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন নাসিম শাহর বলে। শুরুতেই মিরাজকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ নাঈম শেখ, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়রা।
৪৭ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস মেরামত করেন সাকিব-মুশফিক মিলে। পাকিস্তানি বোলারদের সামাল দিয়ে ধীরেসুস্থে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। ১০০ রানের জুটি গড়েন দুজনে। জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। দলীয় ১৪৭ রানে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে সাকিবকে ফিরিয়ে দেন। অধিনায়ক ফেরার পর উইকেটে বড় ভরসা মুশফিকও টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। হারিস রউফের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬৪ রানে ফেরেন মুশফিক। ৮৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও দ্রুত গুটিয়ে যান পাকিস্তানের বোলিং দাপটে। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।