সহিংসতা নিয়ে আসিয়ানের বিবৃতির নিন্দা করেছে মিয়ানমারের জান্তা
সহিংসতা ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা নিয়ে আসিয়ানের বিবৃতিকে ‘একতরফা’ দাবি করে এর নিন্দা জানিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ আসিয়ানের বিবৃতির কড়া সমালোচনা করে দেশটি। এর একদিন আগে মঙ্গলবার মিয়ানমার জানিয়েছে, তারা আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে না।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার চরম অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, যা গণবিক্ষোভ এবং রক্তক্ষয়ী সামরিক দমন-পীড়নের জন্ম দিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) মিয়ানমারে সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আসিয়ান একটি পাঁচ দফা শান্তি পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। তবে সামরিক জান্তা তার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতে অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান নেতারা সামরিক বাহিনীকে ‘সহিংসতা কমাতে এবং বেসামরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজক ইন্দোনেশিয়া বলেছে, পরিকল্পনায় ‘কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়নি।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে’ বুধবার প্রকাশিত বিবৃতিতে আসিয়ানের পর্যালোচনাটিকে ‘বস্তুগত নয়’ এবং ‘একতরফা’ বলে সমালোচনা করেছে জান্তা সরকার।
বিবৃতিতে আসিয়ান সনদের বিধান এবং মৌলিক নীতিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে, বিশেষ করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মিয়ানমার ২০২৬ সালে আসিয়ানের নির্ধারিত সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে না।
পরিবর্তে ফিলিপাইন সভাপতিত্ব করবে। জোটের নেতারা মিয়ানমারের জান্তার সঙ্গে কীভাবে জড়িত থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।’
জান্তার মুখপাত্র ঝ মিন তুন বিস্তারিত না জানিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেন, মিয়ানমার ২০২৬ সালে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির সম্ভাব্য বয়কটের কারণে ২০০৬ সালে মিয়ানমার আসিয়ানের সভাপতিত্ব থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ওই বছরও চেয়ারম্যানশিপ চল যায় ফিলিপাইন।