তিন মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়েছি, বললেন বরখাস্ত ডিএজি এমরান
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বক্তব্যের জেরে বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস প্রাঙ্গণে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিজেই গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
এমরান আহম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। আজকে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত চার-পাঁচ দিন যাবৎ অনবরত হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।’
এমরান আহম্মদ দাবি করেন, ‘এই সরকার ভালোবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ তিনটি ব্যাগে এক কাপড়ে আমার তিন মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
মার্কিন দূতাবাসে এমরানের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তার (এমরান আহম্মদ) স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ দূতাবাসের ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছেন।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন।
এ বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএজি এমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’
শতাধিক নোবেলজয়ীর ওই খোলাচিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে, এমন দাবি করে এমরান আহম্মদ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’
এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইমন্ত্রী আনিসুল হক আজ শুক্রবার সকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্তের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।