পরী মণির যৌন হয়রানির মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণির করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকা এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে পরী মণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পরী মণি অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণের পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই পরী মণি ক্যামেরা ট্রায়ালে বিচার নিষ্পত্তির আবেদন করলে আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরী মণি। পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে, ‘বোট ক্লাবে আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলাসহ খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তাঁরা পরী মণিকে মারধরের হুমকি দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩২৩/৫০৬ অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।’
এ ছাড়া, মামলার এজহারভুক্ত আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি চিত্রনায়িকা পরী মণিকে কৌশলে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। এরপর সেখানে পরীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩০ ধারায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে, মামলার পর নানা ঘটনা প্রবাহে বাদী পরী মণি নিজেই আসামি হয়ে যান। গত বছরের ৪ আগস্ট মাদক মামলায় পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। এরপর ওই মামলায় পরী মণিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আদালতে জামিন পেয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মণি।