তাইওয়ানের চারপাশে চীনের শতাধিক যুদ্ধবিমান
তাইওয়ানের চারপাশে চীনের শতাধিক যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা গেছে। পাশাপাশি প্রণালিটির চারপাশে শনাক্ত করা গেছে আরও নয়টি যুদ্ধজাহাজ। এ নিয়ে আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চীনকে ধ্বংসাত্মক একতরফা পদক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছে তাইওয়ান। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। একদিন দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার সংকল্প তাদের। এ জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগে দ্বিধা করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে তারা।
সম্প্রতি সময়ে তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের বিষয়টিকে অত্যধিক বলে আখ্যা দিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, এ নিয়ে স্বশাসিত দ্বীপটির কোনো সরকারি কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘১৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোট ১০৩টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে। এটি প্রণালি ও অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বেইজিংয়ের নিরবিচ্ছিন্ন সামরিক হয়রানি সহজেই উত্তেজনাকে তীব্র আকার ধারণ করাতে পারে। এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার অবনতি ঘটতে পারে।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শনাক্ত করা ৪০টি যুদ্ধবিমান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। পরে সেগুলো দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থাকা তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্ত অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রবেশ করে।’
সম্প্রতি বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে বেইজিং। প্রায়শ তাইওয়ান প্রণালীতে নৌমহড়া ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালায় তারা। আর এমনটা করা হয় এমন সময়ে যখন কি না তাইপে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ও কানাডার রণতরী তাইওয়ান প্রণালিটি পাড়ি দেয়। এরপর থেকেই প্রণালির আশেপাশে চীনের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বেড়েছে। জাপানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।