বিএনপি ছাড়ার প্রশ্নই আসে না : নজরুল ইসলাম মঞ্জু্
‘তৃণমূল বিএনপি’ নামক একটি সংগঠনে যোগদানকারীদের মধ্যে তাঁর ছবিসহ সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এতে দলের নেতাকর্মী ও জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এসব অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু্। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ইমেল বার্তায় তিনি এ প্রতিবাদ জানান ।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু্ বলেন, ‘বিএনপির একজন প্রতিষ্ঠাকালীন ও তিন দফায় ২৮ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনৈতিক কর্মী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহের ছায়ায় বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক সংগঠক এবং আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতি মর্যাদাশীল একজন রাজনৈতিক কর্মী। বিএনপির চলমান রাজনীতির ৪৫ বছরের শত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে জনপ্রিয় দল বিএনপি ছেড়ে অন্য কোনো দলে যোগদানের প্রশ্নই আসে না।’
এটা বিএনপিবিরোধী সরকারদলীয় চক্রের বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র দাবি করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু্ বলেন, ‘চলমান গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র। এটা কোনোভাবেই সফল হবে না। আমি মিথ্যা অপপ্রচারে দল এবং জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নজরুল ইসলাম মঞ্জু্ আরও বলেন, ‘আমাদের মাতৃসম নেত্রী যখন মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে এবং তিনি গুরুতর অসুস্থ ও চিকিৎসা বঞ্চিত। আমাদের নেতা তারেক রহমান যখন সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন তখন আমাদের একমাত্র দায়িত্ব তাদের স্নেহ ও আস্থার প্রতিদান দিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকা। আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাই।’
মঞ্জু্ আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করতে রাজপথের কর্মী হিসেবে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকব, ইনশা আল্লাহ।’
২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
পরে খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।