মিয়ানমারের জন্য রোহিঙ্গাদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয় : মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিশ্চিত করা সমগ্র বিশ্বের সম্মিলিত দায়িত্ব। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সুরক্ষিত রাখা দরকার, শিক্ষিত করা দরকার এবং তারা যেখানে বাস করছে সেখানে তাদের মর্যাদা নিশ্চিত করা দরকার।’
সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিস অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স (ওইএ) যৌথভাবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এবারের শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য 'শান্তির জন্য পদক্ষেপ : বৈশ্বিক লক্ষ্যের জন্য আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা'।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের পদক্ষেপের জন্য রোহিঙ্গাদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয় এবং তাদের প্রতি কোনো বৈষম্য ছাড়াই ভালো আচরণ করা উচিত।
রাষ্ট্রদূত হাস মিয়ানমারের ক্রমাগত সম্মিলিত চাপের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সংকটের সমাধান এত সহজ নয়।’ তিনি বলেন, ‘তারা পুনর্বাসনের বিকল্পের বিষয়েও ভাবছেন। তবে, এ সুযোগ খুবই সীমিত। এটি কেবলমাত্র অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা লোকদের জন্য।’
এ সময় রাষ্ট্রদূত গণহত্যার জন্য ব্যক্তিদের দায়ী করার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো বলে মনে করেন পিটার হাস।