নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের ঝনঝনানির সুযোগ নেই : র্যাব
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্ত্রের ঝনঝনানির সুযোগ নেই। র্যাব নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেও গত সপ্তাহে ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।
নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন আশঙ্কা করছে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে। এ বিষয় র্যাবের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘র্যাবের ম্যান্ডেট হলো অস্ত্র, জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসী দমন। এটা শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজ করছি তা না। আমরা যখনই তথ্য পাচ্ছি বা অবৈধ অস্ত্র বহন, ব্যবহারের তথ্য পেলে সেটা দেশের যে প্রান্তেই হোক আমরা কাজ করি। গত সপ্তাহে যশোর থেকে ছয়টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুধু নির্বাচন না, যেকোনো সময় হোক; জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, তবে কিছু ব্যক্তি বা মহল মনে করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের জনসমর্থনের পাশাপাশি পেশি শক্তির প্রয়োজন তাদের রয়েছে। তারা কিন্তু এই ধরনের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা বা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রের ব্যবহারের চেষ্টা থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে।
আসন্ন নির্বাচনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হওয়ার তথ্য সরাসরি তথ্য আমরা পাই না। পাওয়ারও কথা না। সন্ত্রাসীরা কারাগার জামিনে বের হচ্ছে আদালতে কোর্ট দারোগা থাকে, অনেক ক্ষেত্রে কারাগার থেকে কারা কর্তৃপক্ষ বা কারা পুলিশের কাছ থেকে পুলিশ সদর দপ্তর পেয়ে থাকে। পাশাপাশি আমরা আমাদের গোয়েন্দাদের মাধ্যমে আসলেই বড় মাপের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাদের বড় ধরনের অপরাধের ইতিহাস রয়েছে তাদের অবস্থান নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। র্যাবের জনবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে আমরা কাজ করছি।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, আশুলিয়ায় দম্পতিসসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাগর কিন্তু চিহ্নিত সন্ত্রাসী না। শীর্ষ সন্ত্রাসীও না। তবে সাগর আমাদের জানিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। আমরা যখন এমন কোনো তথ্য পেলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। পাশাপাশি এই ব্যাপারটা ঘিরে আমরা সতর্ক আছি।