বিশ্বকাপ মাঠ পরিচিতি
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু
ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক ভারত। অপেক্ষা শুধু স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে খেলা শুরুর। ভারতজুড়ে যে ১০টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দলগুলো, প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি। আজ থাকছে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।
বেঙ্গালুরু শহরে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। শহরটির পার্ক ও বাগানেও ক্রিকেট খেলা হয়। রাহুল দ্রাবিড় ও অনিল কুম্বলেসহ ভারতীয় জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার এ শহর থেকেই উঠে এসেছে। শহরটির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।
কর্ণাটক সরকারের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৬৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় মঙ্গলম বা এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের। এটি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হোম গ্রাউন্ড। পাঁচ দশকেরও বেশি পুরনো এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির অবস্থান ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। মনোরম কাবন পার্ক, কুইন্স রোড, কুবন এবং আপটাউন এমজি রোডকে পাশে নিয়ে শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্রিকেট ভেন্যুটি।
এটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। ওডিআই, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। পূর্বে স্টেডিয়ামটি কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। পরে মঙ্গলম চিন্নাস্বামী মুদালিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এর নতুন নামকরণ করা হয়।
চিন্নাস্বামী বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়। প্যানেলগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিলো কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) “গো গ্রিন” উদ্যোগের মাধ্যমে। আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।