গাজা পুরোপুরি অবরোধের হুঁশিয়ারি, হামলায় নাস্তানাবুদ শরণার্থী শিবির
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। চলছে রক্তক্ষয়ী লড়াই। গাজা ও পশ্চিম তীরে অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ত গাজার ওপর ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধের পাশাপাশি খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেবে দেশটি। খবর আল-জাজিরার।
ইসরায়েল গাজাকে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ইয়োভ গ্যালান্ত বলেন, ‘সেখানে পুরোপুরিভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।’
তবে, আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে গাজা। শহরটির আকাশপথ, স্থল ও জলপথ আগে থেকেই অবরুদ্ধ। ২০ লাখ মানুষের শহরটির বাসিন্দারা সুপেয় পানি পাচ্ছে না। একই অবস্থা বিদ্যুৎ পরিষেবায়ও। জরুরি ওষুধের সংকটে চিকিৎসকরা অপারেশন করতে পারছে না।
এদিকে, যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া দেওয়া ইসরায়েল নতুন করে আরও সৈন্য নিয়োগ দিচ্ছে। সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের জন্যই অতিরিক্ত সৈন্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পশ্চিম জেরুজালেমে থাকা আল-জাজিরার সংবাদ দাতা উইলয়েম মার্কস।
গাজা উপত্যকা থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত শরণার্থী শিবির জাবালিয়া ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে আকাশ পথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে থাকা আল-জাজিরার সাংবাদিক জামিলেহ আবু জানন জানান, ইসরায়েলি হামলায় ঘনবসতি ক্যাম্পটিতে অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে।
আল-জাজিরার সাংবাদিক ইয়ুমনা এলসায়েদ জানান, গাজার পাশে অবস্থিত দুটি শরণার্থী শিবিরকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় শাথি শরণার্থী শিবিরের একটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত আট হাজার।
হতাহতের বিবরণ দিয়ে আল-জাজিরা বলছে, দুপক্ষের সংঘর্ষে শুধুমাত্র গাজায় অন্তত ৫১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজার ৭৫০ জন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৬ জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলে অন্তত ৮০০ জন নিহত ও দুই হাজার ২৪৩ জন আহত হয়েছে।