ঢাকা-যশোর রুটে ৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হবে : রেল সচিব
রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ঢাকা-যশোর রেলপথ বাণিজ্যিকভাবে চালু করার পর যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আট জোড়া যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন ও তিন জোড়া ওয়াগন ও কন্টেইনার চালানো হবে।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়া স্টেশনে পদ্মা রেলসেতু সংযোগ প্রকল্পের আংশিক (ঢাকা-ভাঙ্গা) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেল সচিব এসব কথা বলেন।
রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ রয়েছে আগামী বছর জুন পর্যন্ত। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে। বাণিজ্যিকভাবে এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর ঢাকা-যশোর-বেনাপোল এবং ঢাকা-খুলনা-মোংলা পথে প্রাথমিকভাবে আট জোড়া যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এই পথে দিনে ১৪ হাজার ৫০০ জন যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে। যাত্রী পরিবহণ করেই এই পথে প্রতিবছর ২৬৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।’
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই পথে পণ্যবাহী ওয়াগন এবং কন্টেইনার মিলে তিন জোড়া ট্রেন চালানো হবে। মালামাল পরিবহণ করে প্রতিবছর প্রায় ১০৫ কোটি রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে। যাকে কেবল এ অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে না বরং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
রেলপথ সচিব আরও বলেন, ‘১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলে সক্ষম এই রেলপথে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব হ্রাস পাবে ১৮৪ কিলোমিটার এবং যাত্রায় সময় লাগবে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ঘণ্টা। খুলনার দূরত্ব হ্রাস পাবে ২১২ কিলোমিটার ও সময় লাগবে সর্বোচ্চ পৌনে চার ঘণ্টা। অথচ বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে সময় লাগছে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা। সুতরাং ঢাকা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জন্য যোগাযোগের নতুন দার উন্মোচন হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পদ্মা রেলসেতু সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।