পাকিস্তানকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিল শ্রীলঙ্কা
এশিয়ার দুই পরাশক্তি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মাঠের লড়াইটা বেশ জমজমাট। মাস খানেক আগেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। তবে বিশ্বকাপে যেন বাবর আজমের দল অপ্রতিরোধ্য। বিশ্বকাপে ৭ বারের দেখায় কখনও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি লঙ্কানরা। অধরা সেই জয়ের খোঁজে পাকিস্তানকে ৩৪৫ লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল শ্রীলঙ্কা।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন পেসার হাসান আলি।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার রান পাহাড় টপকানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি লঙ্কানরা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে শ্রীলঙ্কা। যার খেসারত দিতে হয় ইনিংসের শুরুতে। দলীয় ৫ রানের মাথায় হাসান আলির শর্ট লেন্থ ডেলিভারিতে পয়েন্টের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে রিজওয়ানের হাতে ধড়া পড়েন কুশল পেরেরা। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর পাথুম নিশানকাকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন আরেক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। এই দুজনের ১০২ রানের জুটিতে ভর করে চাপ সামাল দিয়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে দলীয় ১০৭ রানের মাথায় শাবাদ খানের বলে পয়েন্ট দাঁড়িয়ে থাকা আবদুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিশানকা। ৬১ বলে ৫১ রান করেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়লেও, সেই চাপ দারুণভাবে সামাল দেন মেন্ডিস-সামারাবিক্রমা জুটি। পাকিস্তান বোলারদের পাত্তা না দিয়ে গড়ে তোলেন ১১১ রানের কার্যকরী জুটি।
এরপর দলীয় ২১৮ রানে বিদায় নেন ছন্দে থাকা ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। আউটের আগে খেলেন ৭৭ বলে ১২২ রানের ঝলমলে ইনিংস। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেন সামারাবিক্রমা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ৩৪৪/৯ (নিশানকা ৫১, পেরেরা ০, কুশল ১২২, সামারাবিক্রমা ১০৮, আসালাঙ্কা ১, ধনঞ্জয়া ২৫, শানাকা ১২, দুনিথ ১০, থিকসানা ০, পাথিরানা ১; আফ্রিদি ৯-০-৬৬-১, হাসান ১০-০-৭১-৩, নেওয়াজ ৯-০-৬২-১, হারিস ১০-০-৬৪-২, শাদাব ৮-০-৫৫-১, ইফতেখার ৪-০-২২-০)।