বাড়ছে উঠতি বয়সীদের ভিডিও ফাঁসের ঘটনা
পশ্চিমা বিশ্বে বাণিজ্যিক চিন্তা থেকে বৈধভাবে পর্নোগ্রাফি তৈরি করা হয়। আর বাংলাদেশ থেকে যেসব পর্নোগ্রাফি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, তার বেশির ভাগই আসে মানুষের ব্যক্তিগত গোপন ভিডিও, অডিও কিংবা ছবি থেকে; যা কোনো না-কোনোভাবে ফাঁস হয়ে গেছে।
এমন তথ্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালিত একটি গবেষণার।
ইন্টারনেটে যেসব ছবি বা ভিডিও ফাঁস হয়ে গেছে, তার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ দেশের তরুণ-তরুণীর গোপন ছবি, অডিও কিংবা ভিডিও। তাই পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের প্রেমের ব্যাপারে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
আইনে পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞায় বলা আছে, পর্নোগ্রাফি যে সব সময় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত হতে হবে তা নয়, কারো গোপন ভিডিও, অডিও কিংবা ছবি যদি অশ্লীল হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে কিংবা ছড়িয়ে না পড়লেও প্রচারযোগ্য অবস্থায় অন্যের কাছে থাকে, তবে সেটাও পর্নোগ্রাফি হিসেবে বিবেচিত হবে।
আইনের ওই ব্যাখ্যার আলোকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন তাদের গবেষণা থেকে বলছে, দেশে ৩০-এর কম বয়স এমন ১০ শতাংশ মানুষের গোপন ভিডিও, অডিও কিংবা ছবি এখন পর্নোগ্রাফিতে অন্তর্ভুক্ত। কেননা, এগুলো এর মধ্যেই অশ্লীল হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে কিংবা ছড়িয়ে দিতে পারে এমন ব্যক্তির কাছে আছে।
২০১৫ সালে পরিচালিত ওই গবেষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত শুধু ঢাকা জেলার ৪০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে পর্নো ভিডিও, অডিও কিংবা ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। আবার গবেষণার জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই জানিয়েছেন তাঁদের গোপন ভিডিও, অডিও কিংবা ছবি এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এগুলো এমন ব্যক্তির হাতে চলে গেছে, যারা যেকোনো সময় পর্নোসাইটে ছড়িয়ে দিতে পারে।
পর্নোগ্রাফির ওপর পরিচালিত ওই গবেষণা বলছে, মূলত প্রেমের সম্পর্ক থেকেই এসব গোপন ছবি বা ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরে কোনো না-কোনোভাবে প্রেমিক কিংবা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো দেখুন বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ে আশিকুর রহমান চৌধুরীর দুই পর্বের প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে :