গাজায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখ মানুষ, ত্রাণ পৌঁছাতে করিডর দিচ্ছে মিসর
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অবরুদ্ধ ছিটমহলটিতে ২০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছাতে রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে সম্মত হয়েছে মিসর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেওয়ার পর মিসরের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মিসরীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাবে। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আহমেদ ফাহমি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফাহ টার্মিনালের মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকায় টেকসই মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছেন।’
উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই সহায়তা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক মানবিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করবে।
সড়ক সংস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে বাইডেন জানান, আগামীকাল শুক্রবারের (২০ অক্টোবর) আগে ত্রাণ সহায়তার চালানটি গাজায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গতকাল বুধবার জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (মিসরীয় কর্তৃপক্ষ) রাস্তা সংস্কার করতে যাচ্ছে। ট্রাকগুলো যেতে হলে সড়কের গর্তগুলো পূরণ করতে হবে। তারা ধারণা করছে, এটি করতে তাদের বৃহস্পতিবার প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগবে। তাই সম্ভবত শুক্রবার পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না।’
বাইডেন আরও বলেন, প্রথম ধাপে ২০টি ট্রাক যাচ্ছে। ১৫০টির মতো ট্রাক অপেক্ষা করছে। তাদের পার হতে দেওয়া হবে কি না তা নির্ভর করছে প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হয় তার ওপর।
জাতিসংঘের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রায় ১০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা অবরুদ্ধ ছিটমহলটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এর মধ্যে প্রায় তিন লাখ ৫২ হাজার লোক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলগুলোতে শোচনীয় পরিস্থিতি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। সেই স্কুলগুলোর একটিতে পরিচালিত হচ্ছে আল-মাগাজি শরণার্থী শিবির। সেখানে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত প্রায় চার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু, গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে।