বিএনপির হুংকার-সন্ত্রাস মানুষ পছন্দ করে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ষড়যন্ত্র করে আসছে। সবাই দেখেছে তারা কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে পুড়িয়েছে। কাজেই এদেশের মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী টানা ১৫ বছরে দেশকে উন্নয়ন আর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। দেশকে বদলে দিয়েছেন। মানুষ যখন কোনভাবেই তাদের সাড়া দিচ্ছে না তখন তারা নানা ধরনের হুংকার দিচ্ছে। দেশ অচল করে দেবে। আবার মানুষ হত্যা করবে। এ ধরনের হুংকার-সন্ত্রাস মানুষ পছন্দ করে না। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য মানুষ তৈরি হয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতিবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে রায়পুর উপজেলা আর্ট স্কুল উদ্বোধন ও শ্রী শ্রী রাধামদন জিউর মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ উপহার প্রদান সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে রায়পুর মার্চেন্ট একাডেমি মাঠে আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি যদি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মধ্য দিয়ে কিছু করতে চায়, এদেশের মানুষই তার জবাব দিয়ে দেবে। ঘটনা যেখানেই ঘটে সেখানেই মামলা হয়। বিএনপির গায়েবি মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলাগুলো দায়ের করেন। বিএনপি এটাকে গায়েবি মামলা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেগুলো গায়েবি মামলা বলা হচ্ছে, সেসব ঘটনা ঘটেছে বলেই মামলাগুলো হয়েছে।
পূজামণ্ডপ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এবার প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ পূজামণ্ডপ রয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য মণ্ডপগুলোতে প্রায় ৬ লাখ আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় পুলিশও রয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবীরাও মণ্ডপে কাজ করছেন। তবুও সবার মাঝে একটি শঙ্কা কাজ করছে। তবে আমরা বলছি কিছুই ঘটবে না।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ ও রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট প্রমুখ।