সৌদিতে গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বললেই জেল
সৌদি আরবে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে চালকের ২৪ ঘণ্টা কারাদণ্ড হবে। এ ছাড়া মহাসড়কে কেউ যদি ১৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালায় তাহলে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ।
সৌদি আরবের ট্রাফিক উন্নয়নবিষয়ক কমিশনের প্রধান কর্নেল আবদুল আজিজ আল লুহাইদান আজ রোববার এক রেডিও অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কমিশনের আদেশ কেউ অমান্য করলে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কর্নেল আবদুল আজিজ জানান, এরই মধ্যে গত এক মাসে এই অপরাধে ৬০ জনকে শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যাঁরা গতিসীমা লঙ্ঘন করবেন তাঁদের বড় জরিমানা দিতে হবে এবং এই আইন অমান্য করার অধিকার কারো নেই।
এ ছাড়া দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নতুন ঘোষণায় ৭৩ ধরনের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ ধরনের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন আছে যা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। এই ১১ ধরনের মধ্যে যেকোনো একটি লঙ্ঘন করলেই জেল হতে পারে। এর মধ্যে ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলা অবস্থায় গাড়ি চালানো, বিপরীত দিক দিয়ে গাড়ি চালানো, কোনো কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গাড়ি চালানো, স্টান্ট ড্রাইভিং ইত্যাদি রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ঘোষণার পর ট্রাফিক পুলিশের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আলী আল-রশিদী বলেছেন, কোনো চালক যদি অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালায় তাহলে তিনটি এসএমএস পাঠানো হবে প্রথমে। তারপর তাকে ট্রাফিক অফিসে হাজির হতে বলা হবে। কিন্ত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি ট্রাফিক অফিসে নির্ধারিত সময়ে হাজির হতে ব্যর্থ হয় তবে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত করা হবে এবং জরিমানা করা হবে।
আল-রশিদীর দেওয়া তথ্যমতে, ট্রাফিক বিভাগ এরই মধ্যে ১৬০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে বেশ কিছু চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত করেছে এবং পুলিশ তাদের তলব করেছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এই আইন বাস্তবায়নের জন্য ‘ব্লকিং’ নামে নতুন এক ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গতিসীমা লঙ্ঘনের মতো ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করবে তারা এটিএম বুথ বা অনলাইনে জরিমানা প্রদান করতে পারবে না। অর্থাৎ তাদের অবশ্যই পুলিশের কাছে হাজির হতে হবে।