শিল্প প্রতিমন্ত্রীকে ঘিরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ঠিক ১২টা ২২ মিনিট। বুধবারের দুপুর। হঠাৎ চারিদিকে ভাংচুরের শব্দ। দেখা গেল, মিরপুরের ১০ নম্বর গোল চত্ত্বরের পাশে বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একটি বাসে ভাংচুর শুরু করছেন। সে সময় আশপাশে থাকা রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িতেও শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করে। চারিদিকে হুড়োহুড়ি লেগে যায় । পরে পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা সরে যায়। তবে, আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একই সময় গোল চত্ত্বরের পাশে শাহ আলী প্লাজার নিচে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা বিএনপি-জামায়াতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে মাইকে বলছিলেন, ‘যারা গাড়ি ভাংচুর করছে, অগ্নিসংযোগ করছে; তারা জামায়াত-বিএনপির লোক।’
এর কিচ্ছুক্ষণ পর ১২ টার ৩৫ মিনিটে কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল বের করে সেখানে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। ১২ টা ৩৭ মিনিটে কামাল আহমেদ মজুমদার এক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আর তখনই তাদের ঘিরে ধরে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। ওই সময় কামাল আহমেদ মজুমদার ওই শ্রমিককে বলেন, ‘আপনারা রাস্তা ছেড়ে দিন। আলোচনা করে আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।’
এরপর মিছিলটি নিয়ে শাহ আলী প্লাজার দিকে চলে যান কামাল আহমেদ মজুমদার। তারপরও শ্রমিকরা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের সরে যেতে বলেন রাস্তা থেকে। পরে শ্রমিকরা মিরপুর ১১ নম্বরের দিকে চলে যায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জমিস উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা বারবার রাস্তা দখল করছেন। আমরাও আবার তাদের সরিয়ে দিচ্ছি। তাদের বেতন বৃদ্ধির যে দাবি তা সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। আর তাদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, তিন শ্রমিককে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু, আমি যতটুকু জানি কেউ মারা যায়নি। তারপরও আমি তাদের বলেছি, যদি এমন ঘটনার থাকে তাহলে তারা মামলা করুক। আমরা মামলা নেব। তদন্ত করব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’