বিরোধী দল শূন্য করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে : রিজভী
বিরোধী দলগুলোকে শূন্য করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘সরকার গোটা দেশকে বিএনপি ও বিরোধী দল শূন্য, এমনকি গণতন্ত্র শূন্যের জন্য যত ধরনের পদ্ধতি দরকার, সেটি তারা করে যাচ্ছে। তারা মরিয়া হয়ে এই কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে স্তব্ধ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেড় দশকের আওয়ামী লুণ্ঠন ও অর্থপাচারের কাহিনীগুলো যেন সাধারণ জনগণ জানতে না পারে।’
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। অজ্ঞাত স্থান থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও দেশের নানা জায়গায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ চালিয়েছে। নির্বিচারে ও পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্লক রেইড চলছে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়। রিমান্ড আর গ্রেপ্তার এ যেন আওয়ামী দুঃশাসনের অন্যতম পণ্য।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাতে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছে। ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর পুলিশ রক্তের যে হোলিখেলা খেলেছে সেটি নজিরবিহীন।’ প্রধানমন্ত্রী গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা কথা বলেছেন দাবি করে রিজভী বলেন, ‘দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, সেটিকে খন্ডাবেন কি করে?’
বিএনপির নেতাকর্মীরা হয়রানির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার জুলুমের মাত্রার কোনো শেষ নেই। গতকাল মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর আজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এটা সরাসরি মির্জা আব্বাসের ওপর সরকারি নিপীড়ন। তিনি এমনিতেই অসুস্থ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। এই ধরনের রোগাক্রান্ত একজন অসুস্থ নেতাকে যে টানাহেঁচড়া করছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
পোশাকশ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, ‘সরকার শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করছে। পোশাকশ্রমিকদের এই সংগ্রামের প্রতি গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের সমর্থন রয়েছে। দেশব্যাপী জুলুম-নিপীড়নের খড়গ নেমে এসেছে গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপরে। যারা বাকস্বাধীনতা চায়, নির্বিঘ্নে চলাচল করতে চায়, গণঅধিকার ফিরে পেতে চায়… আজকে তারা মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সে জন্য আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই।’