বাংলাদেশে অবাধ ও ন্যায্য উপায়ে নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে অবাধ ও ন্যায্য উপায়ে নির্বাচন হোক, যাতে দেশটির জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই—জিজ্ঞাসা করার আগে, আমি আপনাকে বলে রাখি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই অর্জন ইতিবাচকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা ও জাতীয় স্বার্থে অবদান রাখে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অর্জনকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে বিস্তৃত পরিসরে বলব, যা আপনি আমাকে আগে বলতে শুনেছেন, গত বছর আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি এবং এটি এমন একটি দেশ যাদের সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বকে আরও গভীরে করতে চাই। কারণ, সেখানে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসা, জলবায়ু সহযোগিতা, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় এবং এগুলোতে সম্ভাবনা বিদ্যমান।’
পরে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘ধন্যবাদ আপনাকে। আমার এক লাইনের আরও একটি প্রশ্ন: আপনি কি বাংলাদেশে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেন, যেমনটা সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধীরা দাবি করছে? ধন্যবাদ।’
উত্তরে ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, গতকাল বা তার আগের দিন বা তার আগের দিন এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।’
এ সময় ওই সাংবাদিক বলেন, ‘হ্যাঁ বলেছেন, আপনাকে বিঘ্ন করায় দুঃখিত।’ এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘সেটাই’। তখন ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আমরা প্রতিবার সেই উত্তরটি আপনার কাছ থেকে পেয়েছি। আপনি, এমনকি সবাই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’ এরপর বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এবং এটি চলতে থাকবে।’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন হলো, আপনি কি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করেন? হ্যাঁ অথবা না।’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আপনি যেমনটা আমাদের বলতে শুনেছেন, আমরা কোনো দেশে কোনো নির্দিষ্ট সরকার বা রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করি না। যেসব এলাকায় নির্বাচন চলছে, সেখানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো–নির্বাচনগুলো অবাধে অনুষ্ঠিত হোক। ন্যায্য উপায়ে হোক, যাতে সেই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।’