মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ৫০ হাজার মানুষ : জাতিসংঘ
সপ্তাহ দুয়েক আগে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করে। এই আক্রমণের পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, মিয়ানমারের শান প্রদেশের চীন সীমান্তে গত দুই সপ্তাহে সংঘাত বেড়েছে। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো জান্তা সরকার সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
চীন সীমান্তে থাকা বেশ কয়েকটি সামরিক চেকপোস্ট দখল করার দাবি জানিয়েছে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ)। এর মাধ্যমে চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক রুটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি তাদের।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় সংস্থা-ইউএনওসিএইচএ’র তথ্য বলছে, ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তর শানের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, শান প্রদেশের লাশিয়ো শহরের বাইরে সামরিক বাহিনীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এলাকার ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। মানবিক সহায়তার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। গণপরিবহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মানবিক সহায়তা প্রদানকারী স্থানীয় সংস্থাগুলো নগদ অর্থ পাচ্ছে না। যার কারণে তারা সহায়তা কাজ চালাতে পারছে না।
ইউএনওসিএইচএ বলছে, নভেম্বরের শুরু থেকে প্রতিবেশি সাগাইং অঞ্চল এবং কাচিন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে আরও ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বিদ্রোহীদের আকস্মিক হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো মন্তব্য করেনি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে, গত সপ্তাহের শুরু দিকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জান্তা সরকার নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সামরিক বাহিনী যদি এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে না পারে তাহলে অঞ্চলটি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।