আমি আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না : তানজিন তিশা
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এরমধ্যেই চারদিকে একটি মিথ্যা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলেই বাসায় ফিরেন তিনি। এরপর নিজেই জানান তার সুস্থতার খবর।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পুরো ব্যাপারটিকে স্পষ্ট করেন। এরপর এদিন মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তানজিন তিশা। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম। ফুড পয়জনিং হয়েছিল। গ্যাসট্রিকের ব্যথা হচ্ছিল। তাছাড়া আমার ফেসবুক হ্যাক হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশ ছিলাম। মানসিকভাবে আপসেট ছিলাম ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে। এরপর রাতে প্রতিদিনের ওষুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাই। আমি ঠিকমতো ঘুমাবো বলেই পরিমাণে একটু বেশি নিয়েছি। পাওয়ার কতো তা দেখিনি। ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ ছিল না। তারপর আমি বমি করি। ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার কোনো সেন্স ছিল না। সরকারি হাসপাতালে মনে করেছে এটা একটা সুইসাইড কেস। তাই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। আনাকে নিয়ে রিস্ক নেবে না বলে পরিবারের সিদ্ধান্তে ভেতরে থাকা ওষুধ বের করতে ওয়াশ করা হয়। আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি হাসপাতালে।’
তিশা আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তো আপনারা অনেক কথা বলেন, কথা বলতে পছন্দ করেন, এতে আসলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আজকে সারাদিন একটা নিউজ দেখতে বা শুনতে পেয়েছি যে তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।’ এরপর আত্মহত্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আত্মহত্যাটা কি আসলে? যেখানে কিছুদিন আগে আমি একটি বক্তব্য দিয়েছি যে আত্মহত্যা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না। সেখানে আমি আত্মহত্যা করব? আমার মতো একজন মানুষ? আমি কেন আত্মহত্যা করব!’
‘আমার বাবা মারা গেছেন দুই বছরও হয়নি। এর পর থেকে আমি খুব শক্তভাবে জীবন পার করছি। আমার বাবা আমাকে একজন শক্তিশালী মেয়ে বানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। ওই জায়গা থেকে মনে হয় আমি আমার জীবনের সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করতে পারব। আমার মনে হয়েছে, বাবা চলে যাওয়ার চেয়ে জীবনে আর কিছু নেই, যেটার থেকে বেশি কষ্ট আমি পাব। যেটার জন্য আমার সুইসাইড করতে হবে।’-যোগ করেন অভিনেত্রী।
লাইভের শেষদিকে এসে তিশা বলেন, ‘আমি কখনো আত্মহত্যা করব না। এটা আমার পরিবারের শিক্ষা না। মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকবেই। আমি এমন একজন মানুষ, যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে কিন্তু আত্মহত্যা না।’