আদালতে হট্টগোল, বিচারকের এজলাস ত্যাগ
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পেছানোকে কেন্দ্র করে আদালতে হট্টগোল হয়েছে। এ সময় বিচারক অন্য মামলার শুনানি করতে চাইলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেন। এ সময় আদালতে তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি হলে বিচারক মামলার শুনানি না করে এজলাস ত্যাগ করেন।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিকের আদালতে জামিন শুনানির সময় পেছাতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরে নতুন সময় দেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। এ সময় মির্জা ফখরুলের আইনজীবী বলেন, ‘কোর্ট এত অসহায় হয়নি যে আদালত সরাসরি সময় দিতে পারছেন না। আমাদের হয়রানি না করে প্রয়োজনে এক বছরের তারিখ দেন।’ এরপরে বিচারক অন্য মামলার শুনানি করতে চাইলে আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এই দিন ধার্য করেন। গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোটা, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহণের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। মিছিলকারীরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশে জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের কর্তব্য পালনে বাধা ও হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।