সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন মন্দা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার চেয়ে বেড়েছে বেশি। তবে আগের কার্যদিবসের চেয়ে এদিন লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন লেনদেনসহ সব ধরনের সূচক উত্থান হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার চেয়ে বেড়েছে বেশি।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৪০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৩৩ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক এক দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫২ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক তিন দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টির ও কমেছে ৫৫টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৭১টির। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর ইয়াকিন পলিমারের ২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচের ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক ডেনিমসের ১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বিডি থাইয়ের ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ওয়েস্টার্ন মেরিনের ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং ইভেন্স টেক্সটেইলের আট কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
শেয়ারদর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে এদিন জিকিউ বলপেনের শেয়ার। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন শেষে শেয়ারটির দর ছিল ১১৮ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ১৩০ টাকা ৪০ পয়সা। একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে নয় দশমিক ৯৪ শতাংশ। বাড়ার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ফিডের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, মিরাকলের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের আট দশমিক ৯৭ শতাংশ, সী পার্ল বিচের সাত দশমিক ৯০ শতাংশ, প্যাসিফিক ডেনিমসের সাত দশমিক ২৪ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ছয় দশমিক ৮১ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের পাঁচ দশমিক ৫৯ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের চার দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ওয়েস্টার্ন মেরিনের চার দশমিক ৮০ শতাংশ করে শেয়ার দর বেড়েছে।
দর কমার শীর্ষে এদিন উঠে এসেছে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটের দর। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন শেষে ইউনিটের দর ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ইউনিটের দর দাঁড়ায় ১১ টাকা ৭০ পয়সা। একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইউনিট দর কমেছে দশমিক ৫০ টাকা বা চার দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। কমার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী আঁশের চার দশমিক শূন্য আট শতাংশ, ইমাম বাটনের তিন দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের তিন দশমিক ৫৩ শতাংশ, আজিজ পাইপসের তিন দশমিক ৩৬ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের তিন দশমিক ১৭ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের দুই দশমিক ৮২ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের দুই দশমিক ২২ শতাংশ এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের এক দশমিক ৮৭ শতাংশ করে শেয়ার দর কমেছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল সাত কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২২ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৯৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক এক দশমিক ৩৭ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক পাঁচ দশমিক ৪১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১২ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দুই দশমিক ২৮ পয়েন্ট করে বেড়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৩ কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ৩১টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৭০টির। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। কোম্পানিটিতে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ওরিয়ন ফার্মার ৯২ লাখ টাকা, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৬৭ লাক টাকা, ইভেন্স টেক্সটাইলের ৪০ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচের ৩৬ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ৩৫ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৩০ লাখ টাকা, ওয়েস্টার্ন মেরিনের ২৮ লাখ টাকা, এসিআয়ের ২৬ লাখ টাকা এবং বিডি থাইয়ের ২৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।