দখলদার ইসরায়েলিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার জন্য দখলদার চরমপন্থি ইসরায়েলিদের ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া, গাজার বেসামরিক লোকদের সহায়তায় আরও কিছু করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। খবর এএফপির।
গত প্রায় দুই মাস ধরে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলিদের প্রতি ভিসা নিষেধাজ্ঞার এই উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি শক্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, বাইডেন ইসরায়েলকে আরও বলিষ্ঠ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর যারা সহিংস হামলা চালিয়েছে, সেই চরিমপন্থি ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আমরা ইসরায়েলের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবার বলেছেন, এই হামলা অগ্রহণযোগ্য।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে যারা নষ্ট করেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বেসামরিক লোকজনের জন্য মৌলিক প্রয়োজন ও জরুরি সহায়তা সামগ্রী পৌঁছাতে যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে, তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হচ্ছে।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘পশ্চিম তীরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য ক্ষতিকর এবং তা ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এসব কাজের জন্য যারা দায়ী, তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন বেশ কয়েকজন দখলদার, যাদের নাম প্রকাশ্যে আসেনি। এ ছাড়া তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরাও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক চরমপন্থি দখলদারদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।