আইনমন্ত্রীর নগদ টাকা ১১ কোটি, বেড়েছে শেয়ারে বিনিয়োগ
গত পাঁচ বছরে নগদ টাকা ও আয় বেড়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। এ সময় তার নগদ টাকা ছয় লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটিতে। মন্ত্রী সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম বাংলাদেশের শেয়ারেও বিনিয়োগ করেছেন, যার মূল্য এখন ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া তার কাছে আছে ১৪ হাজার ৯৩ মার্কিন ডলার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসন থেকে আনিসুল হকের দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় নগদ ছয় লাখ টাকা থাকার তথ্য দেন আইনমন্ত্রী। আনিসুল হক পেশায় একজন আইনজীবী। কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এল এল এম। তার বাবা প্রয়াত আইনজীবী সিরাজুল ইসলামও সংসদ সদস্য ছিলেন।
আয়ের উৎস হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বলা হয়েছে, আনিসুল হক কৃষি ও মৎস্য, বাড়ি ভাড়া, মায়ের নামে থাকা শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকে রাখা আমানত, মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা এবং ব্যাংক এফডিআরের সুদকে আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য খাত থেকে বছরে ৪৩ লাখ টাকা, বাড়ি ভাড়া পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৯ টাকা, মন্ত্রী হিসেবে ভাতা ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংকের এফডিআরের সুদ বাবদ ৪৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ টাকা এবং প্রয়াত মায়ের নামে থাকা শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা আয় হয় আইনমন্ত্রীর। এবারের হলফনামায় তিনি বাড়িভাড়াকে তার আয়ের নতুন উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন।
স্থায়ী আমানতে মন্ত্রীর বিনিয়োগ আছে পাঁচ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৮ টাকা। আর স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ২০ ভরি।
আনিসুল হক স্থাবর সম্পদ হিসেবে আট বিঘা কৃষি জমি, এক একর ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ অকৃষি জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় ১৬ দশমিক ৮৯ বিঘা কৃষি জমি, একটি বাড়ি ও তিনটি মৎস্য খামার রয়েছে। তবে কোনো প্রকার দায় নেই আইনমন্ত্রীর।