কিউইদের অল্পতে থামিয়ে ম্যাচে থাকল বাংলাদেশ
ব্যাট হাতে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসটা বাংলাদেশের কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন শান্ত-মমিনুলরা। বল হাতে সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন বোলাররা। কিউইরা লিড নিয়েছে বটে, তবে তা মাত্র আট রানের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ৩৭.১ ওভারে অলআউট হয় ১৮০ রানে।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন পণ্ড হয় বৃষ্টিতে। মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আড়াই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় প্রথম ইনিংসের খেলা। বাংলাদেশি বোলারদের লক্ষ্যটা ছিল ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানো কিউইদের যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করা। ক্রিজে থাকা ডেরিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের জুটি মাথাব্যথার কারণ ছিল বাংলাদেশের জন্য।
মিচেলকে আউট করে ঝুঁকি কমান নাঈম হাসান। ১৮ রান করা মিচেলের লং শট মিড অফে অনেকটা পথ দৌড়ে এসে তালুবন্দি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটও শিকার করেন নাঈম। মিচেল স্যান্টনারকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। অষ্টম উইকেট জুটিতে কাইল জেমিসনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ফিলিপস। দ্রুত গতিতে রান তোলেন তিনি। ৫৫ রানের সেই জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন ২০ রান করা জেমিসন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭২ বলে ৮৭ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন ফিলিপস। তার ব্যাটেই বড় লিডের আশা করছিল সফরকারীরা। ৯টি চার ও চার ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি থামান শরিফুল। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাকে। শেষ ব্যাটার হিসেবে টিম সাউদির উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। কিউইরা থামে ১৮০ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ও মিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট পান শরিফুল ও নাঈম।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ১৭২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৬৬.২ ওভারে ১৭২/১০।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৩৭.১ ওভারে ১৮০/১০। (লাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১৮, টম ০, ফিলিপস ৮৭, স্যান্টনার ১, জেমিসন ২০, সাউদি ১৪, প্যাটেল ০*; শরিফুল ৪-১-১৫-২, মিরাজ ১১-১-৫৩-৩, তাইজুল ১৬.১-০-৬৪-৩, নাঈম ৪-০-২১-২, মমিনুল ২-০-১৭-০)।