বৃষ্টির পর এবার ঢাকা টেস্টে আলোকস্বল্পতা
ঢাকা টেস্ট যেন পণ করেছে বাধার মুখে পড়ার। টেস্টের প্রথম দিন নির্ধারিত সময়ের আগে খেলা শেষ হয়। কারণ ছিল আলোকস্বল্পতা। দ্বিতীয় দিন পুরোটাই ভেসে যায় বৃষ্টিতে। মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) খেলা শুরু হয় আড়াই ঘণ্টা পর। ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট করে ১৮০ রানে।
আট রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। তিন রানের সময় এজাজ প্যাটেলের বলে প্রথম স্লিপে ডেরিল মিচেলের ক্যাচে পরিণত হন জয়। সাজঘরে ফেরেন দুই রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জাকির হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৩৮ রানে টিম সাউদির বলে আউট হন শান্ত। ১৫ রান করে কেইন উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হন তিনি।
শান্ত আউট হওয়ার পর বন্ধ হয় ম্যাচ। কারণ, আবারও আলোকস্বল্পতা। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ আট ওভারে দুই উইকেটে ৩৮ রান। বাংলাদেশের লিড ৩০ রানের। ক্রিজে আছেন জাকির ও মমিনুল হক।
এর আগে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশি বোলারদের লক্ষ্যটা ছিল ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানো কিউইদের যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করা। ক্রিজে থাকা ডেরিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের জুটি মাথাব্যথার কারণ ছিল বাংলাদেশের জন্য।
মিচেলকে আউট করে ঝুঁকি কমান নাঈম হাসান। ১৮ রান করা মিচেলের লং শট মিড অফে অনেকটা পথ দৌড়ে এসে তালুবন্দি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটও শিকার করেন নাঈম। মিচেল স্যান্টনারকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। অষ্টম উইকেট জুটিতে কাইল জেমিসনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ফিলিপস। দ্রুত গতিতে রান তোলেন তিনি। ৫৫ রানের সেই জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন ২০ রান করা জেমিসন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭২ বলে ৮৭ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন ফিলিপস। তার ব্যাটেই বড় লিডের আশা করছিল সফরকারীরা। ৯টি চার ও চার ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি থামান শরিফুল। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাকে। শেষ ব্যাটার হিসেবে টিম সাউদির উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। কিউইরা থামে ১৮০ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ও মিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট পান শরিফুল ও নাঈম।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ১৭২ রানে।