সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া পর্যবেক্ষক পাঠায় না জাতিসংঘ : ডুজারিক
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠায় না।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ডুজারিক।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিরাজমান রাজনৈতিক চাপের মধ্যে জনগণের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের সমর্থন কামনা করে বাংলাদেশ সরকার একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? আর মহাসচিব কি বিরোধী দলকে জেলে রেখে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য সরকারকে পুরস্কার দিবেন?
জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে ইতোমধ্যে যা বলেছি, তা আমি আপনাকে উল্লেখ করব। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনই আমাদের প্রত্যাশা।’
ব্রিফিংয়ে আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক মিত্রদের সব ধরনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে। জাতিসংঘ কি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে?
জবাবে মুখপাত্র স্টফেন ডুজারিক বলেন, ‘না। আমি বলতে চাচ্ছি, নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠায় না।’
ওই সাংবাদিক আরও জানতে চান, ‘জাতিসংঘ গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী এবং গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ ও মর্যাদায় আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে। আমরা এটির প্রশংসা করি। যাই হোক, আমি আপনাকে দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই, জাতিসংঘ এখনও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে আমি আপনার সদয় মন্তব্য শুনতে চাই।’
স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, ‘সর্বপ্রথম, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে, এতদিন আগের ঘটনা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা মহাসচিবের জন্য নয়। এটি যথাযথ বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’