লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন দলের প্রধান দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। ফুড পয়জনিংয়ের কারণে খেলতে পারেননি দারুণ ফর্মে থাকা তামিম ইকবালও। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াইটা ভালোই করেছে বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত অবশ্য মাঠ ছাড়তে হয়েছে ৩ উইকেটের হার নিয়েই। ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫৭ রান সংগ্রহ করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপের মুখে ফেলার পরিকল্পনাই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম পাঁচ ওভারে বল করতে দেখা গেল পাঁচজন বোলারকে। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী ফল পাননি মাশরাফিরা। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার উসমান খাজা ও শেন ওয়াটসন। উদ্বোধনী জুটিতেই যোগ করেছিলেন ৬২ রান। ষষ্ঠ ওভারে ওয়াটসনকে আউট করার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু সহজ একটি ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুন। তবে ওয়াটসনকে আউট করার জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। এক ওভার পরেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে খাজা বেশ ভালোই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। ১৪তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৫৮ রানের ইনিংস। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১৫ বলে ২৬, ডেভিড ওয়ার্নারের ১৭ ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ১৪ রানের ইনিংসে ভর করে জয় নিশ্চিত করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ অবশ্য লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। শেষপর্যায়ে দারুণ বোলিং করে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। ১৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল: ১১৯/৩। পরের চার ওভারে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার চারটি উইকেট। কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে শুরুটা ভালোমতো করতে পারলে ফলাফলটা ভিন্ন কিছুও হতে পারত। ম্যাচ শেষে চার ওভার বল করে ২৭ রানের বিনিময়ে সাকিব নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুইটি উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর ২৯ বলে ৪৯, সাকিব আল হাসানের ৩৩, মোহাম্মদ মিথুনের ২৩ ও মুশফিকুর রহিমের ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৫৬ রান জমা করেছে বাংলাদেশ।