মেসি যেদিন সর্বজয়ী হলেন
যে বয়সে বুটজোড়া তুলে রাখার কথা, সেই বয়সে তিনি আগের চেয়ে বেশি ক্ষুরধার। নিজেকে সমকালের সেরা তো বানিয়েছেনই, সর্বকালের সেরার ছোট্ট তালিকায় এখন উচ্চারিত হয় তার নাম। হয়তো বুটজোড়া তুলে রাখতেন, অভিমানী লিও আর কখনও ফুটবল ছুঁয়ে দেখতেন না, সমকালের সেরা তর্কে কারও কাছে সেরা হয়েই কাটাতেন বাকিটা জীবন। কিন্তু, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ এর সন্ধ্যা বদলে দিল সবকিছু।
সেই সন্ধ্যায় মেসি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে কেবল তাকেই দেখা যায়। শুধু একটি বিশ্বকাপের কমতি ছিল। শুধু একটি শিরোপা পেলেই থেমে যেত তর্ক। সমকালের সেরার তর্কে রোনালদো না মেসি, তাতে যবনিকাপাত ঘটিয়েছেন। নিজে প্রবেশ করেছেন ফুটবলের দুই মহামানব পেলে ও ম্যারাডোনার সঙ্গে সর্বকালের সেরার ক্লাবে। এই তর্ক এখন ত্রিমুখী। কী কাকতালীয়, আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় শিরোপা জিতিয়েই ত্রিমুখী তর্কের শুরু করেন মেসি। যে তর্ক আনন্দের, সর্বজয়ী হওয়ার।
গত জুনে ‘টেলিভিশন পাবলিকা’ নামক আর্জেন্টাইন একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন মেসি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কতদিন চালিয়ে যাব। কখন এটি (অবসর) হবে, তা নিয়ে ভাবি না। যখন হওয়ার হবে। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে সবকিছু অর্জন করার পর এখন একটাই কাজ করি। খেলাটা উপভোগ করে যাই। জানি সময়টা খুব কাছেই, কিন্তু কখন তা জানি না। সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন সবকিছু।’
মেসি একদিন থামবেন। কালের নিয়মে তাকে থামতে হবে। কিন্তু, কালের ক্যালেন্ডারে তিনি হয়ে থাকবেন অমর, যার পায়ের জাদুতে বিশ্ব মোহিত হয়েছে। যিনি সর্বজয়ী হয়েছেন।