পরাজয় টের পেয়ে কাজী জাফর দোষ চাপাচ্ছেন : নিক্সন চৌধুরী
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (নিক্সন চৌধুরী) বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী কাজী জাফরউল্যাহ পরাজয় টের পেয়ে এখন এসপি-ডিসির ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন শতভাগ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করছে। তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে কোন লাভ হবে না।
রোববার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিক্সন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এর আগে রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফরউল্যাহ অভিযোগ করেন, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার নিক্সন চৌধুরীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে। তারা তার কর্মী-সমর্থকদের মামলা নিচ্ছে না। এর জবাবে বিকেলে এক জনসভায় নিক্সন চৌধুরী এ অভিযোগ খন্ডিয়ে পাল্টা বক্তব্য দেন।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, আজকে কাজী জাফরউল্যাহ এসপির বিপক্ষে বলেন, ওসির বিপক্ষে বলেন। মানে, ওনার সময় হয়ে গেছে। এখন দোষটা কার ওপরে চাপাবে? এইটা চাপাইয়া উনি কবে যে, আমি হারি নাই, আমারে হারাইয়া দিছে। এসবে কাম হবে না। মানুষ উন্নয়ন দেখছে। মানুষ মূল্যায়ন দেখছে। আমার সাথে ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসনের সকল মানুষের প্রেম হইয়া গ্যাছে। এই প্রেম আপনে ভাঙতে পারবেন না।
কাজী জাফরউল্যাহকে উদ্দেশ্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের বাকি ১১ দিন। আপনি দশ দিন আগে ঢাকায় থাইকা আইলেন ক্যান? আপনি ঢাকায় থাকবেন, মাল ছাড়বেন না, আর দোষ দেবেন এসপির, ডিসির! এগুলো করে লাভ হবে না।
নিক্সন আরও চৌধুরী বলেন, কারো দোষ নাই। আপনি মাঠে নামেন। আপনি দোষ চাপাইয়েন না। আগেরবার বলে আমি ভোট কাইটা এমপি হইছি! উনি একটা মিথাবাদী, ভোট চোর, রাজাকার। তাই মিথ্যা কথা বলে। প্রশাসনের কোন প্রভাব পড়তেছে না। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন একশো ভাগ সঠিক আছে। কারণ বাংলাদেশে নমিনেশন জমা দেওয়ার পর প্রথম শোকজটা আমি খাইছি। আর উনি আইসাই প্রথমে প্রশাসনের দোষ দিলেন! মানে ট্যার পাইয়া গেছে জামানত থাকবে না। উনি ঢাকায় যাইয়া কম্বল মুড়ি দিয়া বইয়া থাকে আর মনে করে তিন থানায় ওনার ভোট গিজগিজ করে।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, কোন শক্তিই আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। বিগত ১০ বছর আমি জনগণের উন্নয়ন ও মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জনগণের পাশে ছিলাম আছি ও থাকব। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ তারিখে আমার প্রতীক ঈগল মার্কায় আপনারা ভোট দেবেন। আপনারা মাত্র আগামী ১০ দিন আমার জন্য মাঠে কাজ করবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাবেন।
মানিকদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ বাচ্চু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসহাক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য মো. আশিক ইকবাল স্বপন, আক্কাস মাতব্বর ও রুহুল আমিন মিয়া প্রমুখ।