কারাবন্দি নেতাদের চিকিৎসা নিয়ে বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদকের বিবৃতি
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসা একটি সাংবিধানিক অধিকার। সারা পৃথিবীতেই চিকিৎসাসেবা একটি পবিত্র কাজের অংশ। ভয়ঙ্কর সব দাগী আসামিদের চিকিৎসা সেবার বন্দোবস্ত করার নজির সারাবিশ্বে অসংখ্য। অথচ বিনাদোষে আটক অসংখ্য রাজবন্দিরা আজ বাংলাদেশে এ ধরনের নূন্যতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত এই সরকারের শোষণে। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ দীর্ঘ তিন মাস কারাগারে বন্দি অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, এতে তার অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় এবং তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে অত্যন্ত অমানবিকভাবে রাখা হয়। ইতোপূর্বে যশোর যুবদল নেতা ও শিক্ষক আমানুর রহমান মাধু ও নরসিংদী শহর যুবদলের আহবায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ওরফে সুমন চৌধুরীকেও হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসার নামে প্রহসন করা হয়। পূর্ণ বিশ্রাম যেখানে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার অন্যতম অংশ সেখানে এরকম রোগীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা মধ্যযুগীয় বর্বরতা অথবা নাৎসী বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানায়।
বিবৃতিতে ডা. রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হৃদরোগসহ অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত এসব রাজবন্দীদের চিকিৎসা পূর্ণাঙ্গভাবে না করে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়, ফলে তাদের একই ধরনের সমস্যা নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অথবা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। তিনি বলেন, এ ধরনের অমানবিক, পাশবিক বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও অসুস্থ কারাবন্দিদের সুচিকিৎসার দাবি জানাই।