পোস্টার দিনে টাঙালে রাতে উধাও হয়ে যায় : এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ দাবি করেছেন, তার নির্বাচনি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। একইসঙ্গে তার কর্মীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হকের লোকজন এই কাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিজয়ী হলে ফরিদপুর একটি শিল্পনগরী হবে। তিনি ভোলা থেকে গ্যাস এনে ফরিদপুরের শিল্প কাজে ব্যবহার করবেন। একইসঙ্গে তার আসন সন্ত্রাসমুক্ত করবেন।
এ কে আজাদ বলেন, ‘আমার পোস্টার দিনে টাঙালে রাতের আধারে তা উধাও হয়ে যায়। আমার ভাই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের লোকজন আমাকে মোটেই সহ্য করতে পারে না। তারা আমার পোস্টারের সঙ্গেও শত্রুতা করে। আমার লোক বাসা থেকে বের হয় ভাল পা নিয়ে, কিন্তু ফেরার সময় ভাঙা পা নিয়ে বাসায় যেতে হয়।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীমের উদ্দেশে এ কে আজাদ বলেন, ‘একটি কথা বলতে চাই—আমার ভাইয়ের (শামীম) পাশে অনেক সন্ত্রাসী আছে। আমার ভাই খুনি সম্রাটকে ইউনিয়ন সভাপতি করেছে। তিনি অনেক চতুর লোক। আমার লোকের ওপর হামলা করার আগে, তিনি একজনকে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করে রাখে। পরে আমার লোকজনকে মেরে আমাদের নামেই আবার মামলা দেয়।’
ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ের এই স্বতন্ত্রপ্রাথী বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, জনগণ আমাকে একটাই প্রশ্ন করে, আপনি কি ফরিদপুর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারবেন? আমি বলেছি আপনারা পাশে থাকলে সব করতে পারব।’
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শাহ আলম মুকুল, খলিফা কামাল উদ্দিন, সাদিকুজ্জামান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুল ইসলাম নিরু, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রসুল তানিয়া প্রমুখ।