পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব পাস
পাকিস্তানের ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব পাস হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র সিনেটর দিলওয়ার খান প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে নির্বাচন বিলম্বিত করার দাবি জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। পরে দেশটির সিনেটে তা পাস হয়। খবর ডনের।
পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, পিএমএল-এন সিনেটর আফনান উল্লাহ খান বাধ্যতামূলক নয় এমন রেজুলেশনের বিরোধিতা করেছিলেন, সিনেটর দিলওয়ার খান উত্থাপন করেছিলেন। এই অধিবেশন চলাকালীন মাত্র ১৫ জন আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন, যদিও সংসদের উচ্চকক্ষে মোট সদস্য সংখ্যা ১০০।
প্রস্তাবটি পড়ার সময় দিলওয়ার বলেন, সংবিধান পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকারকে সমুন্নত রেখেছে এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন অন্তর্ভুক্তি ও সমস্ত আঞ্চলিক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের ভিত্তিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে বাধ্য।
দিলওয়ার আরও বলেন, ‘মাঝারি আবহাওয়ার সময়ে ঠান্ডা অঞ্চলে ভোটের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি থাকে। বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি শীতলতম মাস হিসাবে স্বীকৃত।’ তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনি প্রক্রিয়া চলাকালীন ঠান্ডা অঞ্চলে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে।
দিলওয়ার জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জীবনের জন্য গুরুতর হুমকির কথা জানিয়ে, যা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কেপি ও বেলুচিস্তানে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। "গোয়েন্দা সংস্থাগুলি উভয় প্রদেশে নির্বাচনি সমাবেশে জঙ্গি হামলার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।
এমন সব তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি দিলওয়ার সিনেটে নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব দেন। পরে তা পাস হয়। যদিও অতি অল্পসংখ্যক সিনেটরের সম্মতিতে প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় তা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, দেশটির অনেক ছোট দল নির্বাচন বিলম্বিত করার দাবি জানিয়েছে।