ক্রিকেটের ‘বিনোদনদাতা’ হিসেবে সবার হৃদয়ে থাকতে চান ওয়ার্নার
বর্ণিল এক টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সিডনিতে আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়েই শেষটা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। নিজের শেষ টেস্ট খেলার পর আবেগঘন ওয়ার্নার জানালেন, তাকে যেন ক্রিকেট মাঠের বিনোদনদাতা ও আকর্ষণীয় একজন হিসেবে দর্শক মনে রাখে।
শেষ টেস্টটা কি ওয়ার্নার নিজেও ভুলতে পারবেন? ম্যাচের আগে হারিয়ে ফেলেন আবেগের ব্যাগি গ্রিন টুপি। সেটি আবার ফিরে পান চারদিন পর। শেষবারের মতো বন্ধু ফিল হিউজের স্মৃতির ফলক ছুঁয়ে মাঠে নামেন। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে শেষ ইনিংসেও ব্যাট হাতে ছিলেন সাবলীল। খেলেছেন ৫৭ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৪ রান। দুই ইনিংসেই ব্যাটিং গল্পের নায়ক তিনি।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। অস্ট্রেলিয়ার সাদা জার্সিতে ১১২টি ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা। ১১২ টেস্টের ২০৫ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে আট হাজার ৭৮৬ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২৬টি, হাফসেঞ্চুরি ৩৭টি। আছে ট্রিপল সেঞ্চুরিও। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩৫ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। গড়টাও দারুণ, ৪৪.৫৯।
২০২২ এর ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম টেস্ট খেলেন ওয়ার্নার। রিকি পন্টিংয়ের পর দ্বিতীয় অসি তারকা হিসেবে শততম টেস্টে শতক হাঁকান। সেদিন আউট না হলেও পায়ে টান লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ২০০ রান করতে ওয়ার্নার খেলেছিলেন ২৫৪ বল। ১৬ চার ও এক ছক্কায় ৭৮.৭৪ স্ট্রাইক রেটে সেদিন রান করা ওয়ার্নার ছিলেন বেশ আগ্রাসী ঢংয়ে।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার পর ওয়ার্নার বলেন, ‘আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত। আমার সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। আমরা ক্রিকেটটা খেলি দর্শকদের আনন্দ দিতে, বিনোদিত করতে। আমি চাই, সবাই আমাকে ক্রিকেট মাঠের বিনোদনদাতা ও আকর্ষণীয় একজন হিসেবে যেন মনে রাখে।’