বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
নির্বাচনের নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ড. মঈন খান বলেন, ‘দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবুও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকত, মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।’
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. মঈন খান বলেন, ‘প্রথমে বলা হলো ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলেন, ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই-একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে, তা হবে ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি। জনগণ এমন ডামি সরকার চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে তারা যা সৃষ্টি করেছে, তা অলিগার্ক (অভিজাততন্ত্র)। সুতারং, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।
নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল (মঙ্গলবার) থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।’