বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে বসে কাঁদলেন কাদের সিদ্দিকী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কবর জিয়ারতের সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। এ সময় তাঁকে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে।
কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এ ধরনের নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ‘যেখানে গুলিবিদ্ধ, যেখানে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার-বাক্স এদিকে ওদিক হয়ে গেছে, নিয়ে যাচ্ছে। ওই ভদ্রলোক বললেই হবে? বাংলাদেশে সবচেয়ে অপদার্থ হলো নির্বাচন কমিশন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সব কিছুতে সরকারের দায়বদ্ধতা আছে, দায়িত্ব আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি হলেও যেমনি তার দায়বদ্ধতা আছে, একটা গরিব মানুষের ছনের ঘরে চুরি হলেও তার দায়বদ্ধতা আছে। তাই ১২ জন মারা গেছে। তারপরেও আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তাহলে কতজন মারা গেলে অসুষ্ঠু হবে এটা প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে জাগে।’
বঙ্গবীর বলেন, ‘আমি এমন একটা দেশ চাই যে দেশে সবাই নিরাপদে থাকবে। কোনো মা তার সন্তানকে গলা টিপে মারবে না এবং কোনো মায়ের পেটের সন্তানও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হবে না।’
কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটা দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমরা হয়তো উপযুক্ত সন্তান না। আমরা সেই স্বাধীনতার ভালো ফল ভোগ করতে পারছি না। আমরা মারামারি, কাটাকাটি, কামড়া-কামড়ি করছি। এটা হলো আমাদের দোষ, বঙ্গবন্ধুর দোষ না।’
এর আগে কাদের সিদ্দিকী টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। পরে তিনি কবরের পাশে বসে কাঁদেন।
এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, ফরিদ আহম্মেদ, রফিকুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।