বাংলাদেশের জরিমানা হলে ভারতের নয় কেন?
ভারতের বিপক্ষে মাত্র এক রানের হতাশাজনক হারের শোক ভুলতে না ভুলতেই এসেছে আরেকটি ধাক্কা। ধীরগতির বোলিংয়ের কারণে জরিমানা করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। এ যেন অবিশ্বাস্য হারের ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’র মতোই ব্যাপার! মাশরাফি দায় স্বীকার করে নেওয়ায় এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানিও হয়নি। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। ধীরগতির বোলিংয়ের কারণে মাশরাফিদের যদি জরিমানা হয়, তাহলে ভারতের হবে না কেন?
বুধবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ শুরু হয়েছিল রাত ৮টায়। শুরুতে ব্যাটিং করা ভারতের ইনিংস শেষ হয়েছিল পৌনে ১০টায়। এটাকে আইসিসি বিবেচনা করেছে ‘মাইনর ওভার রেট অফেন্স’ বা ওভার রেট সংক্রান্ত ছোট অপরাধ হিসেবে। ১৫ মিনিটের বিরতি শেষে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয়েছিল রাত ১০টায়। হিসাব অনুযায়ী, সাড়ে ১১টায় শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ইনিংস। কিন্তু ম্যাচটি গড়িয়েছিল ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। উত্তেজনাপূর্ণ শেষ ওভারে বেশ কয়েকবার বোলার হার্দিক পান্ডের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল অধিনায়ক ধোনি, আশিস নেহরা, বিরাট কোহলিদের। সে সময় জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যে লেখা হয়েছিল, ‘নির্ধারিত ওভার-রেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে ভারত।’ তারপরও ম্যাচ শেষে শুধু বাংলাদেশকেই গুনতে হলো ওভার রেট-সংক্রান্ত জরিমানা!
আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, ব্যাটিং করা দলের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত সময়ে বোলিং শেষ করতে না পারলে সেই দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে জরিমানা গুনতে হয়। অধিনায়কের ক্ষেত্রে এক ওভারের জন্য শাস্তিটা ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ। বাকি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে তা ১০ শতাংশ। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ধীরগতির বোলিংয়ের কারণে মাশরাফিকে ২০ শতাংশ ও অন্য খেলোয়াড়দের ১০ শতাংশ জরিমানা করেছেন।