২২ জানুয়ারি প্রত্যাহার হচ্ছে রোয়াংছড়ির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় রহস্যময় পর্যটন স্পট দেবতাকুমসহ দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে আগামী ২২ জানুয়ারি। আজ বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে নিরাপত্তা বিবোচনায় গত বছরের ১৬ মার্চ থেকে রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ চার মাস পর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে গত বছরের ১৪ জুলাই রুমা ও থানচি উপজেলা পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখা হয়। দীর্ঘ ১১ মাস পর সেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২২ জানুয়ারি প্রত্যাহার হচ্ছে।
এদিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণে রোয়াংছড়ি উপজলোর রহস্যময় পর্যটন স্পট দেবতাকুম, শীলাবান্ধা ঝরনা, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, শিপ্পি পাহাড় চ‚ড়াসহ পাহাড়ের রহস্যময় দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
অপরদিকে রোয়াংছড়ি উপজেলা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণায় স্বস্তি ফিরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে। জেলা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ও সশস্ত্র বাহিনীর তৎপরতা আতঙ্কে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান জেলা। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।’
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেবতাকুম পর্যটন স্পটটি খুলে দেওয়ায় বান্দরবান জেলা সদরের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা হয়ে উঠবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের বান্দরবান বেড়াতে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবোচনায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন দেবতাকুমসহ দর্শনীয় স্থানগুলো। পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসন সম্মলিতভাবে কাজ করছে।