নাক ডাকা রোধে যা করবেন
নাক ডাকা এমন একটি সমস্যা যেটা আপনি নিজে না টের পেলেও আপনার আশপাশে যাঁরা ঘুমান, তাঁদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে নাক ডাকা প্রতিরোধ করা সম্ভব। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
বাড়তি ওজন
ওজনাধিক্য নাক ডাকার একটি বড় কারণ। গলার ফ্যাটি টিস্যু শ্বাস নেওয়ার পথে চাপ সৃষ্টি করে এবং বাতাস ভালোভাবে বের হতে দেয় না। তাই যাঁদের বাড়তি ওজন আছে এবং নাকও ডাকেন, তাঁরা সবার আগে ওজন কমান।
মদ্যপান ত্যাগ করুন
নাক ডাকা প্রতিরোধে মদ্যপান ত্যাগ করুন। এবং ঘুমানোর আগে কখনোই মদ্যপান করবেন না। মদ্যপান গলার পেশিকে অনেক শিথিল করে তোলে। এই বাড়তি শিথিলতা গলায় বন্ধভাব তৈরি করে, যা নাকডাকার সমস্যা বাড়ায়।
একপাশে ঘুমান
সারা রাত একপাশে ঘুমিয়ে থাকা সত্যিই কষ্টকর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই অভ্যাস তৈরি করতে পারলে নাক ডাকা অনেকটাই প্রতিরোধ হবে।
ধূমপান ত্যাগ
ধূমপান ত্যাগ করুন। সিগারেটের ধোঁয়া, গলা এবং নাকে অস্বস্তি তৈরি করে। এর ফলে ফোলাভাব এবং শ্লেষ্মা তৈরি করে। এতে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।
নাক পরিষ্কার রাখুন
নাক সবসময় পরিষ্কার রাখুন, যেন শ্বাস মুখ দিয়ে নয় নাক দিয়ে বের হয়। যদি অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে নাকের স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভাপ নেওয়া
গরম পানির ভাপ নিন। এটা নাকের বন্ধভাবকে দূর করে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা প্রদানকারী মিউকাসকে বের করে দিয়ে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখবে।
কয়েকটি বালিশ
ফ্ল্যাটভাবে না শুয়ে মাথার নিচে কয়েকটি অতিরিক্ত বালিশ দিন। অতিরিক্ত বালিশের ব্যবহার শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের পথকে ঠিক রাখবে। আর যদি এই ব্যবস্থাগুলো নেওয়ার পরও নাক ডাকা না কমে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।