ব্রিটিশ তেল ট্যাঙ্কারে আক্রমণের পর হুতিদের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে যুক্তরাজ্যের একটি তেল ট্যাঙ্কারে হুতিদের হামলার পর এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এডেন উপসাগরে হুতিদের হামলায় তেল ট্যাঙ্কারটিকে আগুন ধরে যায়। খবর এএফপির।
লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক রুটে চলাচলকারী জাহাজে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলার সামর্থকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বাহিনী ইয়েমেনে হুতি অবস্থানগুলোতে এর আগেও হামলা চালিয়েছে। হুতিরা দাবি করে আসছে, তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এই হামলাগুলো চালিয়ে আসছে।
ওয়াশিংটন ইয়েমেনে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে হুতিরা তাদের হামলা বন্ধ না করে তা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড জানিয়েছে, তারা শনিবার হুতিদের জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সেই লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন সামরিক কমান্ডের পোস্টে বলা হয়, সামরিক বাহিনী নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য ওই ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা করে এবং তা ধ্বংস করে দেয়।
এদিকে হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের হোদেইদা প্রদেশের রাস ইসা বন্দরে দুই দফা হামলা চালিয়েছে। এই বন্দর দিয়ে ইয়েমেনের বেশির ভাগ তেল রপ্তানি হয়। তবে ওয়াশিংটন, লন্ডন বা হুতিদের পক্ষে কেউ হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার কোনো বিবরণ দেয়নি।
এর আগে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিটিশ মালিকানাধীন তেল ট্যাঙ্কার মারলিন লুয়ান্ডায় আঘাত করেছে। সারি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি জাহাজে আঘাত করে। এর ফলে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।’