ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিলেটের মাঝারি সংগ্রহ
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে অভিনব উপায়ে উদযাপন করছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জার্সির পেছনে খেলোয়াড়দের নাম ও নম্বর বাংলাতে লিখেছে। রঙয়েও এনেছে পরিবর্তন। গোলাপি থেকে আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট মাঠে নেমেছে সবুজ জার্সি পরে। ব্যাট হাতে খুব বেশি রান না করতে পারলেও নতুন জার্সিতে ঢাকাকে মোটামুটি একটি লক্ষ্য দিয়েছে সিলেট।
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এখন জয়ের দেখা পায়নি সিলেট। জয়ের খোঁজে আজ তারা নেমেছে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে সিলেট।
শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের পঞ্চম বলেই শরিফুল ইসলাম বোল্ড করেন শামসুর রহমানকে। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফেরান পেসার শরিফুল। ১২ বলে তিন রান করে বোল্ড হন শান্ত।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শরিফুল নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন জাকির হাসানকে। তাকেও প্রথম বলে বোল্ড করেন ঢাকার এই পেসার। ১৩ রানে তিন উইকেট হারানো সিলেটের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও সামিট প্যাটেল। দুজনের ৫৭ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয় সিলেট। প্যাটেল ৩২ বলে ৩২ রান করে আরাফাত সানির বলে গুলবাদিন নাইবের তালুবন্দি হন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন রায়ান বার্ল। চার বলে এক রান করে উসমান কাদিরের বলে লেগ বিফোর হন।
এক প্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নেন মিঠুন। শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে সায়েম আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। এর আগে ৪৬ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৯ রান করেন মিঠুন। শেষ দিকে আরিফুল হকের ৯ বলে তিন ছক্কায় ২১ রানের ইনিংস সিলেটকে এনে দেয় মোটামুটি একটা সংগ্রহ।
ঢাকার পক্ষে চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন শরিফুল। ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট পান আরাফাত সানি।