বান্দরবানে বন্ধ ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এখন উত্তাল। বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চলঠে ব্যাপক গোলাগুলি। বিদ্রোহীদের তোপের মুখে পালাতে বাধ্য হচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরাও। গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ওপারের গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশি আহতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম ছেড়ে নিরাপদস্থানে সড়ে যেতে শুরু করেছেন তারা। এরইমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বন্ধ ঘোষিত স্কুলগেলো হলো—বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রেজু গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আজ বাংলাদেশের আহতরা হলেন—প্রবিন্দ্র ধর (৫৫) ও রহিমা বেগম। ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিক, সৈয়দ আলমসহ অনেকে জানান, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। মিয়ানমার বিদ্রোহী আরাকান আর্মী ও সরকারি বাহিনীদের মধ্যে সংঘাত চলছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে।
ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ বলেন, তুমব্রু সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। গবাদি পশু, পোষা পাখি ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে মানুষজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেওয়াদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, রোববারও সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের কয়েকটি গুলি ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এতে বাংলাদেশি একজন পুরুষ ও একজন নারী আহত হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের গুলি এসে পড়ে বাংলাদেশি দুজন নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের একজন পুরুষ, অপরজন নারী। পরিস্থিতি বিবোচনায় সীমান্তবর্তী পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যানবাহন এবং জনচলাচল সীমিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। সীমান্তে বিজিবি টহল এবং নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্কবস্থায় রয়েছে।