ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) মোট পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইয়েমেনের স্থল ও জলসীমায়। এগুলোর মধ্যে একটি আঘাত করে ইয়েমেনের স্থলভাগে আর বাকী চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় হুতি বিদ্রোহীদের জাহাজ লক্ষ্য করে। খবর এএফপির।
লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার জবাব দিতে তৃতীয় দফায় ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলার পর চালানো হলো এই হামলা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড জানায়, আত্মরক্ষার জন্য হুতিদের অবস্থানে এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে ইয়েমেনের স্থলভাগে চালানো হয় এই হামলা এবং পরে আরও চারটি অ্যান্টি শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় লোহিত সাগরের কয়েকটি জাহাজ লক্ষ্য করে।
কেন্দ্রীয় কমান্ড আরও জানায়, মার্কিন বাহিনী হুতিদের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এসব অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ও ওই অঞ্চলে চলাচলকারী জাহাজের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে হুতিরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাব দিতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশগুলোর জাহাজে হামলার কথা স্বীকারও করে তারা।
এদিকে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার পর হুতিরা ঘোষণা দেয় যে, এখন থেকে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে মার্কিন ও ব্রিটিশ স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। পরে এই হামলার জবাব দিতে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে।
এ বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখে জর্ডানের এরকটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হয় আর আহত হয় আরও ৪০ জন। ওয়াশিংটন এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত হুতি বিদোহীদের দায়ী করে আসছে। গত শুক্রবার পাল্টা জবাব দিতে সিরিয়া ও ইরাকের ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিভিন্ন অবস্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।